কোভিড হাসপাতাল থেকে সুস্থ হলেও কিশোরকে বাড়ি ঢুকতে দিল না এলাকাবাসী , উত্তেজনা পাত্রসায়ের এলাকায়

25th May 2020 বাঁকুড়া
কোভিড হাসপাতাল থেকে সুস্থ হলেও কিশোরকে বাড়ি ঢুকতে দিল না এলাকাবাসী , উত্তেজনা পাত্রসায়ের এলাকায়


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া করোনা আক্রান্ত কিশোরকে বাড়িতে ঢুকতে দিলেননা আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। সোমবার সন্ধ্যায় এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের গ্রাম। 

    দুর্গাপুরের কোভিড হাসপাতালে গত দু'দিন চিকিৎসাধীন থাকার এদিন ছাড়া পাওয়াল পর সন্ধ্যায় অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে বাড়ি নিয়ে গেলে গ্রামবাসীরা বাধা দেন। গ্রামবাসীদের তরফে দাবী করা হয়েছে, ঐ যুবকের বাড়ি বর্ধমানের খণ্ডঘোষ এলাকায়। মাত্র কিছু দিন এখানে থাকছিল। এখান থেকে করোনা পজিটিভ হিসেবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কারণে কোন দোকানে তাদের জিনিসপত্র কিনতে দেওয়া হচ্ছেনা। এমনকি একশো দিনের কাজ প্রকল্প থেকেও তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই অবস্থায় ঐ কিশোরকে তার খণ্ডঘোষের গ্রামে ফেরৎ অথবা সরকারী কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখার দাবী জানান তারা। গণপ্রতিরোধের মুখে পড়ে এই মূহূর্তে অ্যাম্বূল্যান্স চালক ঐ কিশোরকে গ্রাম থেকে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছেন।

  পাত্রসায়রের বিএমওএইচ  ডাঃ প্রিয়দর্শী যশ বলেন, ঐ কিশোরকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন সে চিকিৎসকদের নজরদারিতে 'হোম কোয়ারেন্টাইনে' থাকবে বলেও তিনি জানান ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।